কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বহুল আলোচিত জয়নাল আবেদিন হাজারী (৩৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করলো পিবিআই, কুমিল্লা। মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এজাহারনামীয় ৬নং আসামী আব্দুল হালিম (৩৫), পিতা- মৃত আবদুস সালাম, সাং-ভাউপুর (পূর্বপাড়া), থানা-মনোহরগঞ্জ ও জেলা-কুমিল্লা কে গত ১৩/০৭/২০২৫ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকা সময় সিএমপি পাড়াতলী খানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৮/০৭/২০১৯ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকা হইতে ০৮.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানাধীন ভাউপুর গ্রামস্থ হাবীব মেম্বার এর চা দোকানের সামনে এবং দ্বীন মোহাম্মদ এর বাড়ির আঙ্গিনায় পূর্ব শত্রুতা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে আসামী নুরুল আমিনসহ এজাহার নামীয় ০৯জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন আসামী মিলে ভিকটিম জয়নাল আবেদিন হাজারীকে টেটা, অল্লম, লাঠি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থলে ফেলে আসামীগন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২৯/০৭/২০১৯ ইং তারিখ মৃত্যু বরণ করেন। এই সংকান্তে ভিকটিম স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মুন্নি বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মনোহরগঞ্জ থানা মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু হয়।
মামলাটি মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ ১৭ মাস তদন্ত করে সাক্ষী প্রমাণ না পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রির্পোট সত্য দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত বাদীর না-রাজীর প্রেক্ষিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই কুমিল্লা জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় অত্র মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মিন্টু দত্তকে তদন্তভার প্রদান করেন। বদলীজনিত কারণে গত ০৮/০৪/২০২২ইং তারিখ অত্র মামলাটি পুনরায় পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ এর নামে হাওলা করে।
অত্র মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ তদন্ত করে এজাহার নামীয় ০৯নং আসামী রিয়াদকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। গত ১৩/০৭/২০২৫ইং তারিখ পিবিআই কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দেবানাথ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ সিএমপি চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানা এলাকা হতে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় এজাহার নামীয় আসামী আবদুল হালিম (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল ছালাম, সাং- ভাউপুর, থানা- মনোহরগঞ্জ, জেলা- কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী আবদুল হালিম কে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে। সে সহ তার সহিত অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় অত্র মামলার ভিকটিমকে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায়। উল্লেখ যে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা তদন্তাধীন আছে।
আসামী কে ১৪/০৭/২০২৫ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী আব্দুল হালিম (৩৫), পিতা- মৃত আবদুস সালাম, সাং-ভাউপুর (পূর্বপাড়া), থানা- মনোহরগঞ্জ ও জেলা-কুমিল্লা নিজেকে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীর নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।